শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে আভাসের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা সর্ম্পন্ন উপকূলের শিশুদের দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাসভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেট ক্লাব উদ্বোধন উপকূল দিবসের দাবীতে৭০ এর ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন বরিশাল কারাগারে ফ্যাসিস্ট দুই কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় চলছে অনিয়ম দুর্নীতি মহিপুরে ৩৭ কেজির এক ‘কালো পোয়া’ বিক্রি একলক্ষ ১১ হাজার পাখি শিকার করে লাইভে রান্না, যুবকের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড কলাপাড়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু বাউফলে কৃষকদের মাঝে বিনা মুল্যে বীজ ও সার বিতরণ কলাপাড়ায় নিজ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ম/র/দে/হ উদ্ধার, এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য সভাপতি মোহসীন, সম্পাদক বিপু।কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরামের কমিটি গঠন অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে কলাপাড়ায় গ্রেফতার-৯ কলাপাড়ায় নৌকায় ইলিশের অস্তিত্ব সংকট বিষয়ক গন শুনানি বরিশাল-৫ আসনে জামায়াতের মনোনীত দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হেলালের গণসংযোগ বরিশালে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত বরিশালে ৩৫ সংগঠনের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
মহিপুরে ৩৭ কেজির এক ‘কালো পোয়া’ বিক্রি একলক্ষ ১১ হাজার

মহিপুরে ৩৭ কেজির এক ‘কালো পোয়া’ বিক্রি একলক্ষ ১১ হাজার

Sharing is caring!

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর মহিপুরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৩৭ কেজি ওজনের বিরল সামুদ্রিক মাছ ‘কালো পোয়া’। স্থানীয়ভাবে মাছটি ‘দাঁতিনা’ বা ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামেও পরিচিত।

বুধবার(১২ নভেম্বর) সকালে মহিপুর থানার মহিপুর মৎস্য বন্দরের মনোয়ারা ফিশে মাছটি আনা হলে সেটিকে একনজর দেখতে ভিড় জমে যায় বন্দরে।

সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না বলে জানান স্থানীয়রা। জানা গেছে, মাছটি আল্লাহর দান ট্রলারের মাঝি তরিকুল বড়শি দিয়ে ধরেন।

মাছটির ওজন ৩৭ কেজি এবং বিক্রি হয় ১ লাখ ১১ হাজার টাকায়। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সগির আকন বলেন, “এমন মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। তাই দেখতে আমরা সকাল থেকেই বন্দরে এসেছি। শুনেছি মাছটির দাম এক লাখ টাকার বেশি।

এটা সত্যিই অবাক করার মতো! ইকোফিশ বাংলাদেশ-এর গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান জানান, ‘কালো পোয়া’ (Protonibea diacanthus) Sciaenidae পরিবারের দুষ্প্রাপ্য এক সামুদ্রিক মাছ।

এর দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার এবং ওজন ১০ থেকে ২৫ কেজির মধ্যে হয়ে থাকে, তবে কখনও কখনও ৫০ কেজিরও বেশি পাওয়া যায়। বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে এদের দেখা মেলে।

তিনি আরও বলেন, মাছটির বায়ু থলি বা এয়ার ব্লাডার আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন। এটি চীনা ঐতিহ্যবাহী ওষুধ ও প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, এজন্য মাছটির দাম অনেক বেশি।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, “বন্দরের জেলেরা ৩৭ কেজি ওজনের একটি দাঁতিনা বা কালো পোয়া পেয়েছেন, এটি অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ।

এ ধরনের মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না।” তিনি আরও বলেন, সরকারের জাটকা ও মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা মানার সুফল এখন জেলেরা পাচ্ছেন। উল্লেখ্য: চলতি বছর আলীপুর মহিপুর মৎস্য বন্দরে এ প্রজাতির ৫ টি মাছ বিক্রি হয়েছে।

এতে মাছের পরিমাণ ও বৈচিত্র্য উভয়ই বাড়ছে, যা উপকূলীয় অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মোয়াজ্জেম হোসেন

কলাপাড়া

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD